কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং কি?

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর ব্যবহার

দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য আদান প্রদানের উদ্দেশ্যে সংযোগ ব্যবস্থাকে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং বলা হয়। নেটওয়ার্ক সংযোগ ব্যবস্থার জন্য কিছু বিশেষ ধরণের মিডিয়া এবং নেটওয়ার্ক ডিভঅইস প্রয়োজন হয়। দুই বা ততোধিক কম্পিউটার তার বা তারবিহীন মাধ্যমের সাহয্যে যুক্ত হয়ে তথ্য, হাডওয়্যার, সফটওয়্যার ইত্যাদি শেয়ার করে তখন উক্ত ব্যবস্থাকে বলা হয় কম্পিউ-টার নেটওয়ার্কিং।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর ব্যবহার ও উদ্দেশ্য

দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং তৈরির প্রধাণ উদ্দেশ্য হলো কম্পিউটার সমূহের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার রিসোর্স শেয়ার করা এবং একসাথে কাজ করা। বিভিন্ন প্রকার রিসোর্স শেয়ার বলতে যা বোঝানো হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে:

প্রযুক্তি কি? মানবজীবনে তথ্য প্রযুক্তির অবদান

ইন্টারনেট কি?

১। ইনফরমেশন রিসোর্স শেয়ার: নেটওয়ার্ক ভুক্ত এক কম্পিউটার থেকে  আরেক কম্পিউটারে সহজেই তথ্য আদান প্রদান করা যায়। ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন তথ্য দেখা বা ওয়েভ রিসার্চ মাধ্যমে খোজা বিভিন্ন ইনফরমেশন রিসোর্স করা যায়।

২। হার্ডওয়্যার রিসোর্স শেয়ারিং: কম্পিউটারের সাথে যুক্ত অন্যান্য যন্ত্রপাতি যেমন প্রিন্টার, মডেম, স্ক্যানার ইত্যাদি অন্য কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে যাতে করে নেটওয়ার্কযুক্ত সবাই এটি ব্যবহার করতে পারে।

৩। সফটওয়্যার রিসোর্স শেয়ারিংঃ নেটওয়ার্কযুক্ত কম্পিউটারের মধ্যে থাকা বিভিন্ন সফটওয়্যার এবং ফাইল অন্য কম্পিউটারে শেয়ার করা যায়।

৪। তথ্য সংরক্ষণ: নেটওয়ার্কের সুকিধা কাজে লাগিয়ে একটি কেন্দ্রিয় স্টোরেজ মিডিয়া সার্ভারে ক্লাইন্ট যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এতে করে ডাটা হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

৫। মেসেজ আদান প্রদান: নেটওয়ার্কযুক্ত কম্পিউটারগুলো নিজেদের মধ্যে বার্তা আদান প্রদান করতে পারে। এভাবে নেটওয়ার্ক স্থাপন করে কাগজ বিহীন অফিস স্থাপন করা যায়।

৬। দূরবর্তী স্থান থেকে ব্যবহার: নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে ঘরে বসে অফিসের কাজ করা যায়।

৭। ডাটাব্যাচ ম্যানেজমেন্ট: কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর ফলে কোন প্রতিষ্ঠানের সকল ডাটা নেটওয়ার্কভুক্ত সর্ভারে স্টোর করে কেন্দ্রিয়ভাবে ব্যবস্থাপনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও বেক আপ রাখা ইত্যাদি কাজ করা যায়।

৮। অফিস অটোমেশন: কম্পিউটার নেটওয়ার্ক করে একটি বড় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ডেটা আদান প্রদান, লেনদেন করা, রিপোর্ট তৈরি করণ ইত্যাদি করজ করা যায়।

৯। নিরাপত্তা: পাসওয়ার্ড দিয়ে এক্সেস কন্ট্রোল করা যায়।

১০। সার্ভার সংযুক্তি: সার্ভারের সাথে যুক্ত হওয়া এবং সার্ভারের অ্যাপ্লিকেশন চালনা করা যায়।

আরও পড়ুন: ডনাল্ড ট্রাম্পকে ড. ইউনূসের অভিনন্দন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *