প্রযুক্তি কি? মানবজীবনে তথ্য প্রযুক্তির অবদান

প্রযুক্তি কি?

গ্রিক শব্দ Techne (যার অর্থ হল আর্ট বা শিল্প কিংবা হাতের দক্ষতা) এবং Logia এ  দুইয়ার এর সমন্বয়ে টেকনোলজি শব্দটি গঠিত, যার শব্দ কথা অর্থ হলো প্রযুক্তি। প্রযুক্তি বলতে সাধারণভাবে কতিপয় কৌশল ও প্রক্রিয়ার সমন্বিত জ্ঞানকে বোঝায়। এটি কোন মেশিন, কম্পিউটার বা ডিভাইস সংশ্লিষ্ট হতে পারে। যার ফলে যেকোন ব্যক্তি এ সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনেও এগুলো ব্যবহার করতে সক্ষম হয়।

তথ্য প্রযুক্তি কি?

মনে করো, তোমার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আত্মীয় অনলাইন মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে ডলার পাঠালো। পাঠানোর পর পরই তুমি বাংলাদেশ ওই সার্ভিসের যে কোন ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিতে পারছো। এখন তোমার আত্মীয় তোমাকে যে টাকা পাঠাবে সেটি আসলে তোমার কাছে আসেনি বরং এসেছে একটি মেসেজ বা তথ্য। এ তথ্যটি তোমার আত্মীয় তোমাকে টেলিফোনে জানিয়ে দিয়েছে। তুমি ওই কোড নাম্বারটি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে গিয়ে বলে দিতে পারায় তারা তোমাকে ওই টাকা প্রদান করবে। এখানে আমেরিকার ব্যাংক থেকে এই তথ্য বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে কম্পিউটারের মাধ্যমে এসেছে বিভিন্ন মিডিয়া বা প্রযুক্তির মাধ্যমে। মূলত এটাই হলো তথ্যপ্রযুক্তি বা Information Technology.  তথ্যপ্রযুক্তি বলতে সাধারণত তথ্য রাখা এবং একটি ব্যবহার করার প্রযুক্তিকে বুঝানো হয়। একে ইনফরমেশন নামে অভিহিত করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সাথে যোগাযোগ মাধ্যমের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক।

প্রযুক্তি মূলত একটি সমন্বিত প্রযুক্তি, যা যোগাযোগ, টেলিযোগাযোগ, অডিও-ভিডিও, কমপ্লিটিং সম্প্রচার সহ বহুবিধ প্রযুক্তির সম্মিলনে দীর্ঘদিন ধরে চর্চার ফলে সমৃদ্ধ লাভ করে তথ্যপ্রযুক্তিরূপে আবির্ভূত হয়েছে। সার্বিকভাবে বলতে গেলে, কম্পিউটার টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ একত্রীকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, বিনিময় বা পরিবেশন ব্যবস্থাকে তথ্যপ্রযুক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

ইন্টারনেট কি?

মাত্র 1900 ফলোয়ার্স দিয়ে যেভাবে ফেসবুক রিলস সেট-আপ পেলাম

মানব জীবনে তথ্য প্রযুক্তির অবদান (The Contribution of IT)


আধুনিক সভ্যতার ক্রমবিকাশে তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব অপরিসীম। কম্পিউটারের নির্ভুল কর্ম সম্পাদন দ্রুতগতি স্মৃতি স্বয়ংক্রিয় কর্ম সম্পাদন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তথ্য আদান-প্রদান, যোগাযোগ ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের তথ্য ও প্রযুক্তির প্রয়োগ ক্ষেত্রে সুবিশাল।

তথ্য প্রযুক্তির অবদান হলো :

  • অপচয় রোধ করে সময় সাশ্রয়ী হয়।
  • তাৎক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব হয়। ফোন ফ্যাক্স ইমেল ইন্টারনেট এসএমএস এমএমএস এর উদাহরণ।
  • প্রশিক্ষণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ডের গতি কে ত্বরান্বিত করে।
  • সর্বক্ষেত্রের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
  • ব্যবসা-বাণিজ্য লাভজনক প্রক্রিয়া সৃষ্টি করে।
  • ই-কমার্স এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পণ্যের বাজার সৃষ্টি করা যায়।
  • ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জিনিস অর্ডার দেওয়া যায়
  • শিল্প প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে মানুষের শক্তি অপচয় কমায়।
  • মানব সম্পদের উন্নয়ন ঘটায়।
  • সিটিজেন চাটারের মতো নাগরিক সুবিধা গুলো ঘরে বসে পাওয়া যায়।
  • ঘরে বসে বিদ্যুৎ পানি গ্যাস ফোন ইত্যাদির বিল দেওয়া যায়।

আরও জানুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *